আমফান এর পরেই শ্রীরামপুরের কারখানায় সাসপেনশন অফ অপারেশন এর নোটিশ , ক্ষোভ শ্রমিক মহলে

24th May 2020 হুগলী
আমফান এর পরেই শ্রীরামপুরের কারখানায় সাসপেনশন অফ অপারেশন এর নোটিশ , ক্ষোভ শ্রমিক মহলে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ কারখানার শেড থেকে মেশিন! সাসপেনশান অফ অপারেশানের নোটিশ দিলো শ্রীরামপুরের একটি যন্ত্রাংশ তৈরীর কারখানা।ঘূর্ণিঝড়ের পর কোনো কাজ শুরু করা যায়নি কারখানায়,মেনটেনেন্স সহ সংশ্লিষ্ট কর্মিরা কাজে যোগ দেয়নি বলেও অভিযোগ কারখনা কর্তৃপক্ষের। শ্রীরামপুর বাঙ্গীহাটি দিল্লী রোডের পাশে মাল্টি সার্ভ রোলস প্রাইভেট লিমিটেড নামে লোহার যন্ত্রাংশ তৈরীর কারখানায় আমপানে ক্ষতি হয়।কারখানার শেড উড়ে যায়।অনেক মেশিনেরও ক্ষতি হয়।বিদ্যুৎ জল না থাকায় সমস্যা বাড়ে।কারখানায় প্রায় দুশো শ্রমিক কাজ করে। লকডাউনের কারনে চার ঘন্টা কাজের পয়সা দেওয়া হয় শ্রমিকদের।অল্প সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন চলতে থাকে।এর মধ্যে ২০ মে রাতে সুপার সাইক্লোনের তান্ডব সব লন্ডভন্ড করে দেয়।কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয় এই অবস্থায় কারখানা চালু রাখা সম্ভব না।আজ কারখানা গেটে শ্রমিক সংগঠন গুলো বিক্ষোভ দেখায়।ঝড়ে এমন কিছু ক্ষতি হয়নি দাবী করে শ্রমিকদের অভিযোগ,অন্যায় ভাবে বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী আট ঘন্টার মজুরি দেওয়া কথা থাকলেও তা দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।শ্রমিকদের বের করে দিয়ে ঠিকাদারের লোক নিয়ে কাজ করতে চাইছে।যেটা শ্রমিকরা মানবে না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।